সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ভোটের মাঠ ততই সরগরম হচ্ছে । শহর ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লার আড্ডা খানায় জমে উঠেছে ভোটের আলোচনা । আলোচনার বিষয় একটাই তা হলো কে হবে আগামী দিনের এমপি। কার হাতে যাবে এ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব।
সাধারণ ভোটারদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে আছেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাওলানা আলী আছগার, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম এছাড়াও আলোচনায় আছেন বিএনপির অন্যতম নেতা হাসানুল ইসলাম রাজা।
∆ মাওলানা আলী আছগার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে নিয়মিত গনসংযোগ করছেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার সহকারি প্রশিক্ষণ বিষয়ক সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আমীর/সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা আমীর/সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে মাঠে ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন । যার ফলে ফ্যাসিস্টদের রোষানলে পড়ে সাত কারাবরণ করতে হয়েছিল ।
∆ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন কে কেন্দ্রীয় সংগঠন পাবনা তিনের নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক মনোনীত করে কাজ করতে পরামর্শ প্রদান করায় তিনি দিনরাত্রি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাবনা চাটমোহর ভাঙ্গুড়া ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল। বিভিন্ন কর্মসূচি ইতিমধ্যে দিয় সর্বমহলের আলোচনায় জায়গায় আলোচনায় করে নিচ্ছেন । সে যেহেতু পাবনা ৩ (চাটমোহর ফরিদপুর ভাঙ্গুড়া ) অঞ্চলের মানুষ না। তার পৈতৃক বাড়ির সুজানগর উপজেলায় (পাবনা ২ আসনের মধ্যে) সেহেতু তার সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকল বিএনপি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ নামানো । হাসান জাফির তুহিন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন যার ফলে তিনি দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্টদের কারাগারে বন্দি ছিলেন। বারবার তাকে ফরমায়েশি মামলায় আটক করে শারীরিক মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।
এদিকে পাবনা ৩ এর নির্বাচন এ বিএনপির আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম হাজার ১৯৮৯ এবং ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন এ আসন থেকে। ইতিমধ্যে পাবনা ৩ এ আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বিশাল শোডাউন এর মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন।
বিএনপির আরেক নেতা হাসানুল ইসলাম রাজা মাঠে আছেন । প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সামাজিক সভা-সমাবেশের নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন সেই সাথে আগামী দিনের পাবনা তিন গড়ে তোলার নানান প্রতিশ্রুতিও দিযচ্ছেন।
এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব পাবনার তিন অঞ্চলের কৃতি সন্তান পাবনা জেলা এডভোকেট বার সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার আন্দোলন সংগ্রামে কারাবরনকারী ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন আপনাকে ঘিরে গণসংযোগ করলেও দলের সিদ্ধান্তে তুহিনের পক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থেকে তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা অংশগ্রহণ করছেন । কিন্তু তার অনুসারীদের মধ্যে এক ধরনের মনকষ্ট লক্ষ্য করার মত। তার অনুসারীদের মধ্যে একাংশ মনে করে কেন্দ্রীয় সংগঠন স্থানীয় প্রার্থীর ব্যাপারে চিন্তা করে মাসুদ খন্দকারকে মনোনয়ন দিবেন।
পাবনার ৩ আসন তিনটি উপজেলা চাটমোহর- ফরিদপুর -ভাঙ্গুড়া নিয়ে গঠিত। তিনটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা রয়েছে ২২ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ভোটার সংখ্যা ৪৫৬৪৩৯ জন (ভোটার হালনাগাদ হ ওয়ার পূর্বের তথ্য অনুযায়ী )
ভোটারগন বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় সাধারণ ভোটাররা মুখিয়ে আছে তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেয়ার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে। সাধারণ ভোটাররা মনে করছে এবারে উৎসব মুখর পরিবেশে তারা তাদের নেতা নির্বাচিত করতে পারবে।