স্বামী-স্ত্রীকে সময় না দেওয়ার কারণে সংসার ভেঙে যাওয়া সাংসারিক-অশান্তি এর কারন
মানব জীবনে দাম্পত্য সম্পর্ক একটি অনন্য বন্ধন। ভালোবাসা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্ক টিকে থাকে। কিন্তু আধুনিক ব্যস্ততার যুগে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। এর ফলে সংসারে তৈরি হয় সাংসারিক-অশান্তি বা ভুল বোঝাবুঝি, দূরত্ব, এমনকি শেষ পর্যন্ত ভাঙনের মতো করুণ পরিস্থিতি।
১. সময় না দেওয়ার প্রভাব
যখন স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পান না, তখন তাদের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতা কমতে শুরু করে। একে অপরের চাওয়া-পাওয়া, দুঃখ-কষ্ট বা আনন্দ ভাগাভাগি না করলে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সামান্য বিষয়ও তখন বড় সমস্যার রূপ নেয়।
২. পারিবারিক জীবনে ব্যস্ততার ভূমিকা
অফিস, ব্যবসা, সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার—এসব কারণে অনেকেই পরিবারকে প্রাপ্য সময় দিতে ব্যর্থ হন। স্বামী মনে করেন অর্থ উপার্জন করাই দায়িত্ব পূর্ণ করা, আর স্ত্রী মনে করেন সংসারের যত্ন নেওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু এভাবে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো উপেক্ষিত হলে সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়।
৩. সন্তানের উপর প্রভাব
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভাঙন শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সন্তানের মানসিক জগতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সন্তান পিতামাতার স্নেহ, একসঙ্গে থাকার উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে তার চরিত্র, শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ জীবন ব্যাহত হতে পারে।
৪. সমাধানের পথ
সংসার টিকিয়ে রাখতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই প্রয়োজন সচেতনতা ও ত্যাগের মানসিকতা।
প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটানো।
মনের কথা খোলাখুলি ভাগাভাগি করা।
প্রযুক্তি বা সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করে পারিবারিক মুহূর্তে মনোযোগী হওয়া।
ছোটখাটো ভুলে ক্ষমাশীল হওয়া এবং বড় সমস্যায় ধৈর্য ধরা।
এভাবে শেষ করা যায়
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পারস্পরিক ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। কিন্তু একে অপরকে সময় না দিলে সেই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সংসারকে টিকিয়ে রাখতে আর সুখময় করতে সোস্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে একে অপরকে সময় দেওয়া বা এনিজেদের সময় দিয়ে একে অপরকে সময় দাওয়ার জন্য সময় বের করা খোশ গল্প করা বা একজন অপর জনকে সম্মান করা কারো সামনে অপমান সূচক কথা না বলা।
